ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেছেন।
উপহার দিয়েছেন অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা। এ জুটির আলোচিত সিনেমা ‘নিনে পেলাড়াটা’। তেলেগু ভাষার রোমান্টিক ঘরানার এই সিনেমা ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পাশাপাশি বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়ায় এটি।
১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার সুবাদে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে নাগার্জুনা-টাবুর। ওই সময়ে নাগার্জুনা বিবাহিত হলেও টাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। টাবুর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করলেও নাগার্জুনা চাননি অমলা আক্কিনেনির সঙ্গে তার সংসার ভেঙে যাক। দু’কূল রক্ষা করে দশ বছর সম্পর্ক চালিয়ে যান এই জুটি।
ওই সময়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টপ জুটি হওয়ায় বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন তারা। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাদের দুটি পথ গেছে বেঁকে। কালের নতুন পাতা এসে ঢেকে দেয় তাদের প্রেম কাহিনি।
টাবু-নাগার্জুনার পুরোনো প্রেম ফের সামনে এলো। কারণ এ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন নাগার্জুনার স্ত্রী অভিনেত্রী অমলা আক্কিনেনি। তবে মানুষ যা ইচ্ছে বলুক, তাতে বিশ্বাসী নন অমলা। এ অভিনেত্রী বলেন—‘আমার বাড়ি মন্দিরের মতো পবিত্র।
আমার ঘরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে অপ্রীতিকর কোনো কিছু আসতে দিই না। এই ধরনের কথাবার্তাকে আমি উসকে দিই না। আমি মনে করি, এ ধরনের বিষয় আমার ঘরকে দুষিত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাবু-নাগার্জুনা ব্যক্তিগত জীবনে খুব ভালো বন্ধু। এখনো দক্ষিণ ভারতে এলে আমাদের বাড়িতে থাকেন টাবু।’ বলেন অমলা। ১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন নাগার্জুনা। এ সংসারে জন্ম নেয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য। ১৯৯০ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।